ইসলামের ইতিহাসে বিজ্ঞান একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। মহান আল্লাহতালা কুরআনে অসংখ্যবার জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব দিয়েছেন। আল্লাহ বলেছেন: “তোমরা কি চিন্তা করো না? তোমরা কি দেখো না?”—এই ধরনের প্রশ্ন মানুষের মস্তিষ্ককে জ্ঞানের পথে উৎসাহিত করেছে।
খলিফা হারুন অর রশিদ ও আল-মামুনের যুগে বাগদাদে “বায়তুল হিকমাহ” নামে একটি জ্ঞানকেন্দ্র গড়ে ওঠে। এখানে গ্রিক, রোমান, ভারতীয় ও পারস্যের বিজ্ঞানসমূহ অনুবাদ করা হয়। মুসলিম বিজ্ঞানীরা গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা ও দর্শনে অসামান্য অবদান রাখেন।
ইবনে সিনা চিকিৎসাবিজ্ঞানে আল-কানুন ফিত্তিব রচনা করেন, যা শত শত বছর ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়েছে। আল-খাওয়ারিজমি গণিতে “অ্যালজেব্রা”র ভিত্তি স্থাপন করেন। আল-বিরুনি ভূগোল, পদার্থবিদ্যা ও জ্যোতির্বিজ্ঞানে যুগান্তকারী কাজ করেন। এইসব অর্জন প্রমাণ করে যে ইসলাম শুধু ধর্মীয় ইবাদত নয়, বরং জ্ঞান ও বিজ্ঞানের দিকেও উৎসাহিত করে।
মুসলিম বিজ্ঞানীদের প্রতিটি আবিষ্কার আসলে আল্লাহর দেয়া ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। আল্লাহ মানুষকে মস্তিষ্ক দিয়েছেন, চিন্তার শক্তি দিয়েছেন। তাই যখন একজন বিজ্ঞানী কোনো রহস্য উদঘাটন করে, তখন সেটি মহান আল্লাহর কুদরতের একটি নিদর্শন।
উপসংহার
ইসলামিক ইতিহাস আমাদের শিখায়, জ্ঞানার্জন ইবাদতেরই অংশ। মহান আল্লাহতালা মানুষকে জ্ঞানের আলো দিয়েছেন যাতে তারা তাঁর সৃষ্টিকে বুঝতে পারে এবং তাঁর মহিমা উপলব্ধি করতে পারে। তাই সত্যিকারের বিজ্ঞান আমাদের আল্লাহর কাছেই পৌঁছে দেয়।
