সবচেয়ে গ্রহণ যোগ্যতা মতটি হলো,জোনাথন স্কোবি নামে একজন মার্কিন মিশনারি ১৮৬৯ সালে রিকশা উদ্ভাবন করেন। স্কোবি থাকতেন জাপানের সিমলায়। ১৯০০ সালে কলকাতায় হাতে টানস রিকশা চালু হয়।
তবে তা ছিল কেবল মালপএ বহনের জন্য। ১৯১৪ সালে কলকাতা পৌরসভা রিকশায় যাএী পরিবহণের অনুমতি দেয়।
ততদিনে ব্রহ্মদেশ,মানে মিয়ানমারের রেঙ্গুনেও রিকশা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।১৯১৯ সালে রেঙ্গুন থেকে রিকশা আসে চট্টগ্রামে।তবে ঢাকায় রিকশা আসে কলকাতা থেকে।
নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহের ইউরোপীয় পাট ব্যাবসায়ীরা নিজস্ব ব্যবহারের জন্য কলকাতা থেকে ঢাকায় রিকশা আনেন।
১৯৩৯-এর দশকের শেষভাগে ঢাকার সূএাপুর ও ওয়ারী এলাকায় বাহন হিসেবে রিকশার ব্যবহার শুরু হয়। তবে তখন ছিল মানুষে টানা রিকশার যুগ।
১৯৪৭-এর দেশভাগের পর ঢাকাসহ দেশের শহরগুলো তে সাইকেল রিকশা জনপ্রিয় হতে শুরু করে। আর তখন থেকেই রিকশা পেইন্টিংয়ের গুরু।
অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পীদের হাতে আকা এসব আট এর প্রথম উদ্দেশ্য ছিল তিন চাকার এই বাহনকে নানা রঙে সাজিয়ে যাএীদের আকৃষ্ট করা।তা পূরণ করতে রিকশা র গায়ে সবচেয়ে বেশি আকা হয়েছে চলচ্চিত্র আর নায়ক -নায়িকাদের ছবি।মুক্তিযুদ্ধ,আরব্য রজনীর গল্প,কাল্পনিক নগর,ফুল-পাখির নকশাও বাড়িয়েছে রিকশার শোভা।
ধীরে ধীরে রিকশাচিএ হয়ে ওঠে শিল্পকর্মের আলাদা এক ধরন।১৯৮৮ সালে লন্ডনে মিউজিয়াম অব ম্যানকাইনেড ঢাকার রিকশা পেইন্টিং নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী হয়, যার শিরোনাম ছিল ট্রাফিক আর্ট রিকশা পেইন্টিং ফম বাংলাদেশ।
জাপানর ফুকুওকা এশিয়া আট মিউজিয়ামেও বাংলাদেশর রিকশা পেইন্টিং নিয়ে প্রদর্শনী হয়েছে।
১৯৯৯ সালে ঢাকার আলিয়স ফসেজে পায় ছয়শ রিকশা ও বেবিট্যারি পেইন্টারের শিল্পকর্ম নিয়ে প্রদর্শনী হয়েছিল। - ফ্রিকশর বহুল ব্যবহার এবং নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী কাঠামোর কারণে ঢাকাকে বল হয়
রিকশা রাজধানী।
সম্পাদক সিয়াম হাসান
পাবলিশার সিয়াম হাসান নিউজ লিমিটেড