(toc)
সুন্দরী নারীর মাধ্যমে ক্ষত-ক্ষতি:
সুন্দরী নারীর কথা চিন্তা করা দরকার। এই ধরনের নারীর ব্যাপারে স্বামীর সব সময় মনে সন্দেহ থাকে। তার রূপ লাবণ্যের প্রতি খেয়াল রেখে স্বামী নানা ধরনের আশংকা ও ভয়ের মধ্যে নিমজ্জিত থাকে। কখন যে তার মায়া পরিত্যাগ করে অন্যের সাথে চলে যায় কিনা? এ ধরনের ঘটনা অনেক ঘটেছে।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, নারীদের তাদের রূপ সৌন্দর্য দেখে বিয়ে করিও না। হয়তো তাদের রূপ মাধুর্য তাদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিবে এবং ধন-দৌলতের কারণে তাদের বিয়ে করো না। হয়তো তাদের ধন-দৌলত তাদেরকে উদ্ধত্যপূর্ণ ও অহংকারী বানিয়ে দিবে। কিন্তু নারীদেরকে ধার্মিক দেখে বিয়ে কর। নিঃসন্দেহে একজন দ্বীনদার কুৎসিত হাবশী নারী সবদিক দিয়ে উত্তম। উপরে যে আলোচনা করা হলো, এর অর্থ এই নয় যে, ধনবতী, উচ্চ বংশীয়া ও রূপবতী নারীকে বিবাহ করবে না, এবং যখন বিবাহ করবে তখন দরিদ্র, নিম্ন বংশীয়, কুশ্রী মেয়েকে বিবাহ করবে। বরং মানুষ যেন নিজের অমূল্য জীবনের সাথীর খোঁজ করার অর্থই বংশ ও রূপকে নিজের লক্ষ্যবস্তু মনে না করে। সব সময় ধারনা রাখবে যে, পাত্রীর অন্যান্য গুণাবলী যতখানি থাকতে পারে তা থাকুক। কিন্তু তার দ্বীনদারী ও পরহেজগারীর গুণ কতটুকু আছে। এবং প্রথমে এই গুণ দ্বারাই স্ত্রী নির্বাচন করবে। যদি কোন রমনীর মধ্যে এই ধরনের প্রয়োজনীয় গুণ অর্থাৎ দ্বীনদারী পরহেজগারী থাকার সাথে সাথে বর্ণিত অপর গুণগুলিরও সমাবেশ ঘটে তবেত খুবই ভাল। এমন গুণ বিশিষ্ট নারী ভাল হওয়া সম্পর্কে কারও মনে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না। কোন পুরুষ যদি কোন দ্বীনদার পরহেজগার সতী সাধ্বী নারীর মধ্যে ধনসম্পদ তালাশ করে যাহা বিলীয়মান এবং বংশ মর্যাদার খোঁজ করে যার উপর নির্ভর করা যায় না। আর রূপলাবণ্য অন্বেষণ করে যাহা ক্ষণস্থায়ী, তাহা হলে ইহাতে তাহার কোন ক্ষতি হবে না। শ্রেষ্ঠতম গুণ দ্বীনদার যাহা স্থায়ী এবং পরকালে সাহায্য করতে পারে তাহা যদি স্ত্রীর মধ্যে থাকে তবে অন্যান্য অস্থায়ী গুণ গুলি থাকলে বেশ ভাল। আর যদি নারী অন্যান্য গুণের অধিকারী হয় কিন্তু দ্বীনদারী তার মধ্যে না থাকে। এই ধরনের স্ত্রীর দ্বারা স্বামীর ইহকালের অনিষ্ট হবে এবং পরকালে কঠিন আজাবের সম্মুখীন হতে হবে। কাজেই পাত্রী নির্বাচনে প্রধান দিক হবে ধার্মিক স্ত্রীলোক। তারপর ধনসম্পদ, রূপ লাবণ্য, বংশ মর্যদা জাতীয় গুণের অধিকারী স্ত্রী পাওয়া গেলে ভাল। এই তিনটি গুণ ও ধর্মীয় গুণের মধ্যে পার্থক্য হল যতই বয়স বৃদ্ধি পাবে ততই দ্বীনদারীতে অধিক মনোনিবেশ করবে। আল্লাহর নেক দৃষ্টি পড়বে। এই বৈশিষ্ট অন্য তিনটি গুণের মধ্যে নাই।
বিবাহের অপকারীতা:
কোন কোন সময় বিয়ের দ্বারা উপকারের পরিবর্তে অপকারও হইয়া থাকে। যারা হালাল পথে উপার্জন করতে পারে না তাদের বিবাহ করা বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে বর্তমান সমাজে বেশি সন্তান হলে তাহাদের লালন পালন ও ভরণ পোষণের জন্যে সন্দেহজনক বা হারাম মাল উপার্জন করতে বাধ্য হয়। ইহাতে ধর্মের ক্ষতি সাধন করে এবং সন্তানগণ ও হারাম খাদ্য খেয়ে বিপদের সম্মুখীন হয়। তাহার কোন ইবাদত আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। যারা সন্তানের হক আদায় করতে সক্ষম হয় না তাদের বিবাহ করা উচিত নয়। সন্তানের সাথে ভাল ব্যবহার করে ও তাহাদের কষ্ট সহ্য করে, তাহাদের শিক্ষাদীক্ষা ও যাবতীয় কাজ সমাধা করা সকল লোকের পক্ষে সম্ভব পর হয়ে উঠে না। তখন এমন অবস্থা হয় যে, সন্তানদিগকে কষ্ট কেশ দিতে থাকে ইহাতে আল্লাহর দরবারে গোনাহগার হয়। সন্তানদের খোঁজ খবর না নিয়ে তাদের ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়।যখন মানুষ পরিবার-পরিজনের কারণে চিন্তিত থাকে এবং পরকালের চিন্তা ও সম্বল এবং আল্লাহর বন্দেগীর জিকির আজগার হতে বিরত থাকে। তখন তাই তার পরকালের ধ্বংসের কারণ হবে। যদি কেউ মনে করে যে, বিবাহ না করলে আল্লাহর বন্দেগীতে লিপ্ত থাকতে এবং জিনার কাজ হতে বিরত থাকতে পারবে তাহার 'বিবাহ না করা ভাল। আর যদি জ্বিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার আশংকা থাকে তবে বিয়ে করা উচিত। কিন্তু হালাল রুজি অর্জন করতে পারলে এবং পরিবারবর্গের সহিত সদ্ব্যবহার করতে পারবে বলে । বিশ্বাস থাকলে এবং বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইলে আল্লাহর বন্দেগীতে ব্যাঘাত ঘটবে না বলে মনে করলে তাহার জন্য বিবাহ করা অতি উত্তম কাজ হবে
আসসালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন আমি আপনাদের সঙ্গে আছি রাইফুল হাসান কন্টিন রাইটার ফর সিয়াম হাসান নিউস লিমিটেড