(toc)
সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম বন:
সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, যা বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মধ্যে বিস্তৃত। এই বনভূমিটি প্রায় ১০,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত, যার মধ্যে প্রায় ৬০% বাংলাদেশে অবস্থিত। বাকি টা ৪০ভাগ ভারতে অবস্থিত। সুন্দরবন তার অনন্য জীববৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত এবং এটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত,আমাদের সুন্দরবন অনেক সুন্দর একটি বন এখানে অনেক ধরনের গাছপালা, সুন্দর সুন্দর পাখি পশু এখানে দেখা যায়।
সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য:
সুন্দরবনে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার সহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী বসবাস করে। এ ছাড়া এখানে কুমির, হরিণ, বানর, শঙ্খিনী সাপ এবং বিশাল পাখির প্রজাতির দেখা মেলে। সুন্দরবনের প্রধান বৃক্ষ প্রজাতি সুন্দরী গাছ, যার নাম থেকেই বনটির নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়া এখানে গেওয়া, কেঁদ ও গরানসহ নানা ধরনের ম্যানগ্রোভ গাছ পাওয়া যায়,আমাদের এই সুন্দর বনে মৌচাক থেকে মধু আরোহন করে।
আমরা এই সুন্দরবনটা আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি বন,আমরা আমাদের বন বোনকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পারিনি।
সুন্দরবনের গুরুত্ব:
সুন্দরবন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা রক্ষা করে, কারণ এটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেমন ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে সুরক্ষা প্রদান করেন এছাড়া সুন্দরবন স্থানীয় অর্থনীতির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। স্থানীয় জনগোষ্ঠী মধু সংগ্রহ, মাছ ধরা এবং পর্যটনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করা।
এ সুন্দরবন দিয়ে আমরা অনেকজন প্রাকৃতিক বন্যা থেকে বাঁচতে পারি, কিন্তু অনেক দুষ্টু মানুষ আছে যারাই সুন্দরবনের কাজ চুরি করে নেয়, এ কারণে আমাদের সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, সুন্দরবনকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।
রয়েল বেঙ্গল টাইগার:
এখানে আমরা কিছু কথা বলছি সামনেই ঘাড় বাঁকা করে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল এক বাঘ। বাঘটি লোকজনের টের পেয়ে কিছুক্ষণ পর হেলেদুলে বনের দিকে চলে যায়। তবে বেশিক্ষণ অবস্থান করেনি বাঘটি। ব্যারাকের সামনে বিশাল এক বাঘ হাজির। এসময় কৌতুহল ভরে দেখছিলাম আমিসহ আমার সহকর্মীরা। বাঘটি আমাদের থেকে মাত্র তিন থেকে চার ফুট দূরে ছিল। বাঘ দেখে গা ছম ছম করছিল সবার। এত কাছে থেকে বাঘ দেখতে পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার।
বিশালকায় বাঘটি যখন সামনে দাঁড়িয়ে ছিল তখন ভয়ে আমাদের সবার গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। আমরাই রয়েল বেঙ্গল টাইগারটি অনেক জায়গায় দেখতে পাই, সুন্দরবনের অবস্থান বাংলার দক্ষিণাঞ্চলে, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর মোহনায়। নদ-নদী, খাঁড়ি, এবং খালের জালের মতো বিন্যাসের কারণে সুন্দরবন একটি জলাভূমি অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন জোয়ার ও জোয়ার ভাটার কারণে মাটি লবণাক্ত এবং জলাশয়ের পানি মিশ্রিত থাকে, যা এখানে বিশেষ কিছু উদ্ভিদ ও প্রাণীর বেড়ে ওঠার জন্য উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে।
সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে প্রায় ৬৪ ধরনের উদ্ভিদ প্রজাতি রয়েছে। এখানে প্রধানত কেওড়া, গেওয়া, সুন্দরী, গরান প্রভৃতি গাছ দেখতে পাওয়া যায়। সুন্দরী গাছের নাম থেকেই সুন্দরবনের নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এ ধরনের গাছগুলি লবণাক্ত পানি সহ্য করতে পারে এবং শক্তিশালী শিকড় ব্যবস্থার মাধ্যমে মাটি সংরক্ষণে সহায়ক হয়।আমরা সুন্দরবন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবো আর্টিকেলটি থেকে।
পরিবেশগত :
সুন্দরবন পরিবেশগত দিক থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ঘূর্ণিঝড়, বন্যা থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের দক্ষিণাঞ্চলকে সুরক্ষা দেয়। ম্যানগ্রোভ গাছের শিকড় স্রোতকে আটকাতে সহায়ক, যা ভূমিক্ষয় রোধ করে। এটি গ্লোবাল কার্বন সিকোয়েস্ট্রেশনে অবদান রাখে এবং বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই অক্সাইড হ্রাসে সহায়ক ভূমিকা।
সুন্দরবনের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হল অবৈধ গাছ কাটা, পরিবেশ দূষণ, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততার বৃদ্ধি, এবং বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল সংকুচিত িয়েছে। সংরক্ষণের প্রচেষ্টার মধ্যে অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠা, স্থানীয় জনগণকে পরিবেশ সংরক্ষণে উদ্বুদ্ধ করা এবং পর্যটকদের জন্য কিছু সীমাবদ্ধতা আরোপ করা বে মানবসৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সুন্দরবনকে ক্রমশ হুমকির মুখে ঠেলে সুন্দরবনের টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্মিলিত।
সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনভূমি, যা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিস্তৃত। সুন্দরবন গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে অবস্থিত এবং এটি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত অঞ্চলের একটি। অবস্থান ও আয়তন: সুন্দরবন বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ অংশে বিস্তৃত। এর মোট আয়তন প্রায় ১০,০০০ বর্গকিলোমিটার, যার প্রায় ৬০% বাংলাদেশে এবং বাকি ৪০% ভারতে রয়েছে।